এলিয়েন কি সত্যি আছে? উত্তর দিতে উদ্যোগ নিয়েছে নাসা

মানুষের একটি কৌতূহলের বিষয় হচ্ছে মহাবিশ্বে অন্য কোনো প্রাণ আছে কি না? এরই উত্তর দিতে নাসা উদ্ধোগ নিয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই তৈরী করতে যাচ্ছে হ্যাবিটেবল ওয়ার্ল্ডস অবজার্ভেটরি (এইচডব্লিউও) যেখানে পৃথিবীর মতো গ্রহগুলিতে প্রাণের অনুসন্ধান করবে।

এই দশকের শেষে চিলির মরুভূমিতে তৈরী হবে এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ (ইএলটি) যা দ্বারা দূরবর্তী গ্রহে প্রাণ অনুসন্ধান করার লক্ষ্য রয়েছে। (এই টেলিস্কোপটির আয়না এখন পর্যন্ত তৈরী অন্য সব আয়না থেকে সবচেয়ে বড়, ব্যাস ৩৯ মিটার।)

টেলিস্কোপগুলি দূরবর্তী নক্ষত্রের বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করতে পারে, এবং গত মাসে একটি গ্রহে তারকার ১২০ আলোকবর্ষ দূরে এমন গ্যাসের উপস্থিতি খুজে পেয়েছে, যা জীবসত্তা উৎপন্ন করতে সক্ষম।

আরো পড়ুন- আবারো চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা নাসার

এই গ্রহটি ‘দ্য গোল্ডিলকস জোন’এ অবস্থিত, এবং এ অঞ্চলে অবস্থান করতে সক্ষম গ্রহগুলি গোল্ডিলকস হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের মুখ্য প্রধান বলছেন যদি এই গ্রহে প্রাণের চিহ্ন পাওয়া যায়, তাহলে মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে।

জুপিটারের উপগ্রহ ইউরোপায় প্রাণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, এবং এই উপগ্রহের বরফপৃষ্ঠের তলার নীচে একটি সমুদ্র থাকতে পারে। নাসা’র জুস এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)-এর জুপিটার আইসি মুনস এক্সপ্লোরার উভয় মিশন এই উপগ্রহে পৌঁছাতে পারে ২০৩০ সালের শুরুতে।

আরও একটি নভোযান, ড্রাগনফ্লাই, শনি গ্রহের টাইটানে পাঠানো হচ্ছে, যেখানে রাসায়নিক উপাদান ও পানি প্রাণধারণের জন্য গুণগত হতে পারে। নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) জুপিটারের উপগ্রহ ইউরোপায় প্রাণের অনুসন্ধানে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

আরো পড়ুন- পৃথিবীতে আর কত দিন অক্সিজেন থাকবে?

জুস এবং জুপিটার আইসি মুনস এক্সপ্লোরার মিশনের মাধ্যমে এই উপগ্রহে পৌঁছাতে পারে ২০৩০ সালে। শনি গ্রহের টাইটানে নভোযান পাঠানো হচ্ছে ড্রাগনফ্লাই নামক প্রকল্পে, যেখানে রাসায়নিক উপাদান ও পানি প্রাণধারণে গুণগত হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা সায়েন্স ফিকশনের জগতে অচেনা একটি প্রশ্ন ’কোনো ভিনগ্রহ থেকে রেডিও তরঙ্গ আসতে পারছে কি না, এর উপর কাজ করছেন। এইসব অনুসন্ধানের জন্য দ্যা সার্চ ফর এক্সট্রা টেরেসট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এসইটিআই ) প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। প্রাণধারণের সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান চিহ্নিত করতে এমন টেলিস্কোপগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, যেমন: এর মধ্যে একটি জেডব্লিউএসটি।

এখন থেকে প্রায় ৩০ বছর আগের তুলনা করলে দেখা যায় যে আগের মানুষদের কিছুই জানা ছিল না মহাশূন্য সম্পর্কে। কিন্তু এখন ৫০০০ এর বেশি গ্রহের সম্মন্ধে তথ্য আছে আমাদের কাছে। এখন যদি মহাশূন্যে নতুন কোনো প্রাণের খোঁজ পাওয়া যায় তাহলে বিজ্ঞানের নতুন এক অধ্যায় খুলবে।

লেখক: Zeba Fariha

Similar Posts

3 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *