রকেট কিভাবে মহাকাশে যায়

রকেট হলো এমন এক যান যা পৃথিবীর বাইরে যেকোনো প্রয়োজনে পাঠানো হয়। সচরাচর আমরা যেসকল প্লেনে ভ্রমণ করি তার একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা আছে যার উপর প্লেন গুলো আর উঠতে পারে না। রকেট এক্ষেত্রে আমাদের কাজে লেগে থাকে।

রকেট যা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা সাধনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। মানব সভ্যতাকে বিশাল আকাশ ভেদ করে নিয়ে যাচ্ছে বহু দূর, অজানা সব গ্রহ নক্ষত্রে। রকেটে চেপে মানুষ ইতমধ্যে চাঁদে পা রেখেছে। আর খুব তারাতারি মঙ্গলেও যাচ্ছে মানুষ। যার সবই সম্ভব হচ্ছে রকেটের জন্য।

তবে প্রশ্ন হলো রকেট কিভাবে মহাকাশে যায়? কিভাবেই বা এটি কাজ করে? আপনিও যদি এই সম্পর্কে ভেবে থাকেন তবে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্য। চলুন জেনে নেয়া যাক।

রকেট কিভাবে মহাকাশে যায়?

রকেটে খুব শক্তিশালি জেট ইঞ্জিন যুক্ত থাকে। একটি রকেটে চারটি অংশ থাকে। যেগুলো হলো গঠন বা ফ্রেমওয়ার্ক, ইঞ্জিন জালানি ব্যবস্থা বা বাইরের রকেট বুস্টার, অনবোর্ড কম্পিউটার ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম, আর পে-লোড যা রকেট কে বহণ করে নিয়ে যায়।

রকেট নিউটনের তৃতিয় সূত্র মেনে ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়ার নীতি দ্বারা প্রচুর জালানি পুড়িয়ে সরু নলের এক দিকে একটি শক্তি উৎপন্ন করে, যাকে থ্রাস্ট বলা হয়। বুস্টার রকেটের এই থ্রাস্ট বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। রকেটের এই থ্রাস্টের ফলে উচ্চ গতি অর্জন করে যা রকেটকে পৃথিবী থেকে উপরের দিকে ঠেলে দিতে কাজ করে।

আরো পড়ুন: বিমান কি আকাশে থেমে থাকতে পারে?

একটি সাধারণ রকেট এক মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি থ্রাস্ট তৈরি করে যা এটিকে প্রতি ঘন্টায় 22,000 মাইল বেগে 6,000 পাউন্ডের বেশি বহন করার সক্ষমতা দেয়। এটি 13 টি হুভার ড্যাম দ্বারা উত্পাদিত শক্তির সমতুল্য, যা আটটি ঘোড়ার ওজন বহন করে এবং একটি দ্রুতগতির বুলেটের চেয়ে 15 গুণ দ্রুত গতিতে ভ্রমণ করে!

এভাবে রকেট বায়ুমন্ডল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রমাগত জালানি পুড়িয়ে মুক্তি বেগের চেয়ে বেশি বেগ উৎপন্ন করে। এক্ষেত্রে বুস্টারগুলো প্রতি সেকেন্ডে ৫০০০ কেজি পর্যন্ত জ্বালানি ব্যবহার করে এবং ঘন্টায় প্রায় ১০,০০০ মাইল, মানে সেকেন্ডে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগ অর্জন করে।

আরো পড়ুন: আবারো চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা নাসার

পৃথিবীর বায়ু মন্ডল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বুস্টারগুলো আলাদা হয়ে যায়। তারপর যেহেতু পৃথিবীর বাইরে পূর্বে প্রাপ্ত গতি সহ রকেটকে সামনে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়ার মতো আর বাতাস বা অভিকর্ষ বল নেই, তাই এখানে আর জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। তবে রকেটের দিক পরিবর্তনের জন্য কিছু জ্বালানি রাখা হয়।

বুস্টার আলাদা হওয়ার পর থাকে রকেটের পে-লোড, নেভিগেশন সিস্টেম, ইঞ্জিন এবং থার্ড স্টেজের জ্বালানি যা দিক পরিবর্তনে ব্যবহার হয়।

আরো পড়ুন

হোমে যেতে: bdcss

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *